গ্রামের গল্প। প্রেমের গল্প। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নব্বইয়ের দশক। প্রায় তিন দশকের অতীত থেকে ‘ইতি চিত্রা’র কাহিনি তুলে এনেছেন নির্মাতা অনিক। গল্প যখন উল্টো দিকে হাঁটে, তখন তার অনুষঙ্গও বদলে যায়। ফলে চরিত্রদের হাতে স্মার্টফোন নেই, সার্বক্ষণিক যোগাযোগ নেই। আছে শুধু অপেক্ষা। লোকচক্ষু এড়িয়ে প্রিয় মানুষটির মুখ
জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর।
সিনেমার গল্প এগিয়েছে ডায়েরির পাতার মতো করে। যেভাবে টুকরো টুকরো ঘটনার সম্মিলনে লিখে রাখা হয় দিনপঞ্জি, ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ সিনেমার বয়ানশৈলী অনেকটা তেমন। কিছুক্ষণ পরপরই পর্দার এক কোণে ভেসে ওঠে দিন-মাস-সাল। আর ভয়েসওভারে ঘটনার
ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ হলো একটি বিখ্যাত চরিত্রের বিশ্লেষণ এবং এবং ইতিহাসের একটি সুস্পষ্ট বিবরণ। ওপেনহাইমার হলেন সেই অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি যিনি ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেটি ছিল পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রকল্প। যেই বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল।
‘দৌড়’ ওয়েব সিরিজটির প্রথম পর্ব থেকেই উত্তেজনার পারদ ক্রমশ উঁচুতে উঠেছে। গল্পটা টান টান, তাতে সন্দেহ নেই। ওয়েব সিরিজে এমন ‘কী হয়, কী হয়’ ঘরানার গল্পেরই কদর বেশি। ‘দৌড়’ সেদিক থেকে সফল। গল্পের বিন্যাস এমনভাবেই করা যে...
শুরুটা হলো সয়াবিন তেল নিয়ে। সেই সংকটে মিশে যায় নিত্যকার ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির শাঁখের করাত। অথচ ঠিক পেছনের সিটে তখন মরণাপন্ন এক ‘জিন্দা লাশ’ নিয়ে বসা দুই পথচারী। তাদের কাছে ওই পুড়ে যাওয়া নারীটিও নাম-পরিচয়হীন। বাঁচানোর জন্যই রাস্তার ধার থেকে কুড়িয়ে তোলা। কিন্তু সেই তিনজনের উৎকণ্ঠা ও যাতনায় ভ্রুক্ষে
গত শতাব্দীর শেষের দিকে বিশ্বজুড়ে নতুন দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় দর্শকদের। সেই নয়া দুনিয়ার নাম ছিল ‘ম্যাট্রিক্স’। রূপালি পর্দায় এক কল্পিত দুনিয়ার বিস্তার শুরু হয়েছিল সে সময়, যা দর্শক জনপ্রিয়তায় শীর্ষে উঠেছিল। রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়ে গিয়েছিল নিও–ট্রিনিটি–মরফিয়াস–ওরাকল নামের চরিত্রগুলো। আর চোখধাঁধানো অ
তারপর ভাবুন একটা সিনেমা আপনার সামনে, অথবা আপনি তার সামনে। আর তার নাম—‘রেহানা মরিয়ম নূর’। আপনি যদি ভেবে থাকেন অনেক আলোচনা-সমালোচনা শুনেছি এই সিনেমা নিয়ে; যাই দেখে আসি, তাহলে আপনি ফেঁসেছেন। শুধু তারাই নন, যারা সিনেমাটি খুব বুঝতে যাবেন, তারা তো বটেই এমনকি নিছক বিনোদনের জন্য যারা যাবেন, তারাও বিরক্ত হওয়
চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ